দ্বিতীয় দফা টানা চারদিন শৈত্য প্রবাহের কবলে পরেছে কুড়িগ্রামের জনপদের মানুষ। কখনো মাঝারী কখনো মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে। মঙ্গলবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তর বলছে এই অবস্থা আরো দুই থেকে তিনদিন বিরাজ করবে।
এদিকে শীতের তীব্রতার ফলে বিপাকে পরেছে শ্রমজীবী মানুষ। শীতের গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনালের হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, প্রচন্ড শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ জানান, চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ থাকলেও দিনে রোদের কারণে কৃষিতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ইতিমধ্যে বোরো ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আলুও তোলার পর্যায়ে রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকবে। সোমবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীতকে মোকাবেলা করার জন্য ইতিমধ্যে ৭০ হাজার পিচ কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ হাজার সোয়েটার পাওয়া গেছে তাও বিতরণ করা হয়েছে।